নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া:
পেকুয়ায় ধানক্ষেত থেকে মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ইঁদুরের উৎপাত থামাতে জমিদারবাড়ীর কার্যকারক ফসলী জমিতে বৈদ্যুতিক লাইন দেয়। এ সময় রাতে মাদ্রাসা থেকে যাওয়ার পথে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে রাতেই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রের। পরদিন সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাকে খোঁজতে থাকে। এ সময় ধান ক্ষেত থেকে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে। গতকাল রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের দক্ষিন মগনামা জমিদারবাড়ী থেকে ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত ছাত্রের নাম মোহাম্মদ আইয়ুব(১৪)। তিনি একই ইউনিয়নের মরিচ্যাদিয়া এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোহাম্মদ আইয়ুব দক্ষিন মগনামা জমিদার বাড়ীর ওয়াজ উদ্দিন মুহুরী হেফজখানায় পড়ালেখা করছিলেন। তিনি হেফজ পড়–য়া ছাত্র। ওই দিন রাতে মাদ্রাসা থেকে পাশর্^বর্তী বেদেরবিল পাড়ায় খালার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। জমিদার বাড়ীর এরফানুল হক চৌধুরী প্রকাশ বাবুল মিয়ার বাড়ির ভিতর দিয়ে তার খালার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বাড়ির উত্তর পাশের্^ ধান ক্ষেতে ইঁদুর নিধন করতে বৈদ্যুতিক তার টানা হয়। ধান ক্ষেতের আইল দিয়ে যাওয়ার পথে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিন মগনামার স্থানীয়রা জানায়, এরফানুল হক চৌধুরী সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। তিনি গ্রামের বাড়িতে থাকেন না। দলিলুর রহমান নামের এক কর্মচারী বাড়ি ও অবশিষ্ট দেখভাল করেন। ঘরভিটার প্রায় ৮০ শতক জায়গা আবাদ উপযোগী করে সেখানে ফসল উৎপাদন করছিল। ইঁদুর নিধন করতে তারা বাড়ির আঙ্গিনায় ওই জমির চারদিকে খোলা তার টাঙ্গিয়ে দেয়। রাতে ওই তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়। ছেলের পিতা দিন মজুর নুরুল কবির জানায়, আমার ছেলে হেফজ পড়ছে। ১৮ পারা শেষ করেছে। খালার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করছে। রাতে হেফজখানা থেকে খালার বাড়িতে যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তার প্রাণনাশ হয়েছে। হেফজখানার শিক্ষক আনছার উদ্দিন জানায়, রাতে ওই ছাত্র মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। মুঠোফোনে বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। পরদিন মাদ্রাসায় না আসায় বাবাকে ফের বলি। এরপর তাকে খোঁজাখোজি করা হয়। পরে ধানক্ষেতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। পেকুয়া থানার এস,আই বিপুল চন্দ্র জানায়, এ মৃত্যুটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। ধানক্ষেতে এ ভাবে বৈদ্যুতিক উম্মুক্ত লাইন দেওয়া খুবই বেআইনী হয়েছে। তাদের অবহেলায় একটি নিষ্পাপ শিশুকে দুনিয়া থেকে চলে যেতে হয়েছে।
পাঠকের মতামত: